প্রেমের মোহে অন্ধ হয়ে মানুষ সব কিছুই করতে পারে। প্রেমে পড়লে নাকি মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। আর এই প্রেমের সুযোগ নিয়েই এক প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নামালেন দেহ ব্যবসায়।
ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোতে। মেক্সিকোর এক নারীকে প্রেমের খেসারত দিতে হয়েছে নিজের শরীর মনের নিদারুন যন্ত্রণায়। প্রায় ৪০ হাজার বার তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে! অন্তত এমনটাই দাবি নির্যাতিতা ওই মহিলার।
তিনি জানান, তার যখন মাত্র ১৯ বছর বয়স, তখন ফ্রান্সিসকো নামে এক ব্যক্তির প্রেমে পড়েন তিনি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামিয়ে দেয় ফ্রান্সিস।
তিনি আরও জানান, তার ওই প্রেমিক তাকে ১.২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেয়। এর পর ওই মহিলাকে সহ্য করতে হয়েছে নারকীয় যন্ত্রণা। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাত্কারে মেক্সিকোর ওই মহিলা তার জীবনের ভয়াবহ পর্বের কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, তাকে দিনে প্রায় ৬০ বার ধর্ষিত হতে হত।
তিনি জানিয়েছেন, এক খদ্দের তো তার মুখে বন্দুক ঢুকিয়ে ধর্ষণ করেছিল। জীবনের প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণায় তিনি ওই খদ্দেরকে গুলি চালিয়ে দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু খদ্দেরটি তা করতে অস্বীকার করে।
একটি এনজিও-র সহায়তায় এই জঘন্য দুনিয়া থেকে মুক্তি পান তিনি। আপাতত ওই এনজিও-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্যান্য নির্যাতিতা মহিলাদের সাহায্যের কাজ করছেন।
এই ধরনের ঘটনা মেক্সিকোয় নতুন নয়।
এর আগেও সে দেশের এক মহিলা মিডিয়াকে দেয়া একটি সাক্ষাত্কারে বলেন, আমি ৪৩,২০০ বার ধর্ষিত হয়েছি।
এই ঘটনায় আরও একবার সামনে এলো মেক্সিকোর অন্ধকার এই দিকটি।